জে এম রফিকুল সরকার, আমিরাত: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১৩ জন দেশে ফিরেছেন। সাধারণ ক্ষমা পেয়ে দেশে ফিরলেও তারা জিসিসিভুক্ত (উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল) দেশ– সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনে পরবর্তী সময়ে চাকরি বা আবাসনের জন্য স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায় যে, সব মিলিয়ে ১১৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তার মধ্যে ৬৫ জনের ট্রাভেল পারমিট দিয়েছে দূতাবাস। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবার থেকে ৪৮ জনের পাসপোর্ট জমা করা হয়। কারও কারও টিকিট করে দিয়েছে পরিবার। এ ছাড়া আরও অন্তত ৫৫ প্রবাসী নিখোঁজ থাকার বিষয়টি দূতাবাসকে অবহিত করেছেন স্বজনরা। তবে কারাগারে এখনও কতজন আটক আছেন, তা আমিরাতের কারা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর হাজরা সাব্বির হোসেন জানান, ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া নির্বাসিত প্রবাসীরা কেবল আরব আমিরাতে নিষিদ্ধ থাকেন।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্পর্কে আমিরাতে কর্মরত জোবায়ের আহমেদ আতাল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে প্রথমে তাদের আমিরাত সরকার বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করে পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ড.মুহম্মদ ইউনূসের সম্মানে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন যা একটি মাইলফলক। সামনের দিনে তাদের প্রবাস জীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই আমার আশাবাদ। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন।
এমটি/এএটি/ রফিকুল