স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরকে বিজ্ঞান শিক্ষার অনন্য কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান জাদুঘরে এক অংশীজন সভা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধু প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থাকলে স্থবিরতা চলে আসে, যে কারণে প্রযুক্তির সঙ্গে প্রকৃতি ও সবুজের সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাদুঘর অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে।
তিঁনি বলেন, “আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে তরুণ প্রজন্ম। সে কারণে তরুণদের বিজ্ঞান শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।” জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “প্রতিনিয়ত জাদুঘরকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে এবং তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান সম্মত খাদ্যাভাস,পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধসহ সমসাময়িক বিজ্ঞানের উপরে বিজ্ঞান চর্চায় এবং উদ্ভাবনী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। রাতারাতি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করে সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব নয়।
প্রযুক্তিগত বিপ্লবের পাশাপাশি স্রষ্টাকে চেনা, জানা এবং স্রষ্টার আনুগত্য মেনে এবং প্রাকৃতিক শৃঙ্খল অক্ষুণ্ণ রেখে চলতে হবে।” অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমরান হোসেন, হার পাওয়ার প্রজেক্টের উপ-পরিচালক নীলুফা ইয়াসমিন, বাপেক্স’র ডিজিএম রওশনুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার রায়হানা আজহার স্বর্ণা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী , শিক্ষক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।