স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে মূলতঃ বিপ্লব ঘটে গেছে, যা’ পুরো অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে এবং যান চলাচলে শৃংখলা আনতে সরকার বহুমাত্রিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু নাগরিকরা এবং গাড়ি চালকরা যদি সড়কের অনুশাসন মেনে না চলে, তবে এসব অর্জনের পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অধিবেশনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার এ মতামত ব্যক্ত করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে তিঁনি বিগত ২০০৯ থেকে সড়ক যোগাযোগের অর্জিত সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে জানান, ৩৮,০০০ কি.মি. সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ যোগাযোগ ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য প্রশংসনীয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রয়োগে সড়কে শৃংখলা ও অনুশাসন সৃষ্টি করতে হবে। জাতি হিসেবে আমরা নিরন্তর আইন অমান্য করে চলেছি, যে কারণে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি না। সুতরাং মহাসড়কে স্পীড লিমিট প্রযুক্তি প্রয়োগে স্পীড গান ব্যবহার, সেন্সর ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার এবং হাইওয়ে পুলিশকে প্রশিক্ষিত করে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া সড়ক নির্মাণে পলিমার অ্যাক্রিলিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ী ও টেকসই সড়ক নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে।