স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার দিকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশে বির্নিমানে কাজ করছেন। আজ যারা তরুন প্রজন্ম আছ, তোমরাই হবে সেই ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার। এজন্য তোমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে,স্মার্ট বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। পরালেখা আর খেলাধুলা, খেলাধুলা সমাজে ভাতৃেত্বর বন্ধন মজবুদ করে। নানা অসংগতি হতে দূরে রাখে সর্বপরি দেশপ্রেম জাগ্রত করে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জিলা স্কুল এর ১৭০ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমাদের লেখাপড়া করতে হবে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই গঠনমূলক কর্মকাণ্ড করতে হবে। তোমরা যদি সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের যদি গড়ে তুলতে পার, তাহলেই তোমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কর্ণধার হতে পারবে। স্মাট নাগরিক হতে হবে, অর্জন করতে হবে স্মার্ট সততা,দেশপ্রেম, ন্যায়পরায়ণতা,নৈতিকতা দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা।

তিনি বলেন, কোনো দেশের নাগরিক বা মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ না হতে পারলে সে দেশ কখনও সমৃদ্ধ লাভ করতে পারে না। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু আমরা জনসাধারণ যদি শারীরিকভাবে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে তাহলে এটা সোনার বাংলা হবে না, রুগ্ন বাংলা হবে। সুতরাং সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের প্রতিটি নাগরিককে শরীরের দিকে নজর দিতে হবে। আর এজন্যই সরকার খেলাধুলার দিকে নজর দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন,আমাদের স্মার্ট জাতির জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি-এ ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী নাগরিক সেবা আঙুলের ডগায় নিয়ে আসতে এবং দুর্নীতিমুক্ত, কাগজবিহীন, আন্তঃসংযুক্ত ও আন্তঃক্রিয়াশীল একটি স্মার্ট সরকারের লক্ষ্যে কাজ করছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও আমরা আশা করবো এখনকার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার প্রতিও মনোযোগী হবে। একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সঙ্গে খেলাধুলায় মনোযোগী হলে তারা অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে।

বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া জেসমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল আঞ্চলিক উপপরিচালক,মোঃআনোয়ার হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃলষ্কর নুরুল হক, বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email