স্টাফ রিপোর্টার: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে প্লাস্টিক দূষণের মতো জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের আহ্বান জানান। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ‘প্লাস্টিক দূষণ চুক্তি’কে এক চালিকাশক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৬ষ্ঠ পরিবেশ অধিবেশনে ‘গ্লোবাল প্লাস্টিক অ্যাকশন পার্টনারশিপ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অংশীজনদের সমাবেশে প্লাস্টিক দূষণ নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বক্তব্যে মন্ত্রী প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানান। প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে পথিকৃৎ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। এ উদ্যোগের ফলে পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশকে অগ্রণী ভূমিকায স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত উদীয়মান চুক্তির তাৎপর্য স্বীকার করে মন্ত্রী চৌধুরী প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবেলায় বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠাকে চুক্তির লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে উল্লেখ করে সহযোগিতামূলক, বহু-স্টেকহোল্ডার প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বক্তব্যে মন্ত্রী চৌধুরী একটি সামগ্রিক কৌশলের রূপরেখা দেন যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরেও প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাস এবং বিকল্প উপকরণের প্রচারকে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি চুক্তির উদ্দেশ্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য উভয়ের সাথে এই কৌশলটির সারিবদ্ধতার ওপর জোর দেন, যা পরিবেশগত টেকসইতা এবং সামাজিক ন্যায্যতার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্ব যখন একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, মন্ত্রী চৌধুরী স্টেকহোল্ডারদের এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে এবং যৌথ উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তব ফলাফলে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানান। তিনি গ্রহ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসাবে প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত চুক্তির তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।
এমটি/এআর