স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, বনজঙ্গলে ও পাহাড়-পর্বতে জীব বৈচিত্র্য সুরক্ষায় ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। বিজ্ঞান মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পসমূহ কেবল শো-পিস হিসেবে নয়, বাস্তব জীবনে আবশ্যিকভাবে এর প্রয়োগ ঘটিয়ে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
রোববার বিজ্ঞান জাদুঘরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারি ও তরুন বিজ্ঞানীদের নিয়ে আয়োজিত অংশীজনের সভা ও সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মুনীর চৌধুরী বলেন, বনজ সম্পদ সুরক্ষায়, নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধে এবং উপকারী ও প্রকৃতিবান্ধব প্রাণি ও পাখি সুরক্ষায় প্রচলিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। কোন প্রকারের পাখি কোথায় বসবাস ও বিচরণ করছে এবং নির্বিচার শিকার বন্ধ ও চোরাই শিকারিদের চিহ্নিতকরণে ড্রোন ও ক্যামেরাকে মোক্ষম প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান জাদুঘরের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক করে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে।
মহাপরিচালক বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকার অভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছে না। শুধু আনুষ্ঠানিক সভা, সেমিনার নয়, লাগসই প্রযুক্তি দিয়ে দেশের উন্নতি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ নেয়ামুল নাসের। অনুষ্ঠানে তরুণ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা তাদের উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এমটি/ এআর