স্টাফ রিপোর্টার:
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও নেতৃত্বগুণে বিশ্ব নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন । দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে অনন্য।

সোমবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে ‘ম্যানেজমেন্ট স্কিলস ফর প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে পদার্পন করেছি। দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক প্রায় সকল কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডেও প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার বিষয়টি চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই আউটসোর্সিং ও ডিজিটাল সেবাখাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল সেবাখাতে সরাসরি প্রায় তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এটি বেড়ে ২০২৫ সাল নাগাদ পাঁচ লাখে উন্নীত হবে।

মোঃ ফরিদুল হক খান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিসমূহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই ভিত্তিসমূহ তৈরিতে আমাদের সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবেনা। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকেও স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকারী উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।

পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সময়ের সাথে সমান তালে এগিয়ে চলা এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কাজে যদি পেশাদারিত্বের প্রতিফলন না থাকে তাহলে প্রকল্প যথাসময়ে ফলপ্রসূভাবে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এবং এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহ অর্জনের বিষয় বিবেচনায় রেখেই আমাদের সকল কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর বা সংস্থার সকলকাজে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, কোথাও কোন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বা বিচ্যূতি সহ্য করা হবে না।

জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে এনএপিডির মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার ও এনএপিডির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হাসান তারিক বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পযার্য়) প্রকল্পের অর্থায়নে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে।

এমটি/ এআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email