স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় একটি হোটেল সে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় মন্ত্রী এ আহবান জানিয়ে বলেন, সৌদিতে আমাদের দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ রয়েছেন। প্রত্যেক প্রবাসীই দেশের প্রতিনিধি এবং তাদের আচরণেই দেশ পরিচিত হয়। সবাই বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে দেশের অর্থনীতিতে সেটি বড় ভূমিকা রাখে।
সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে শুধু সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক ছিলো। এখন পেট্রোলিয়াম, কৃষি, পরিবেশ, অবকাঠামো নির্মাণ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এমন নানাখাতে সহযোগিতাসহ সেই সম্পর্ককে আমরা বহুমাত্রিক করেছি।
সভায় জেদ্দায় সদ্যসমাপ্ত ১৯তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে যোগদানের পাশাপাশি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আলোকপাত করেন ড. হাছান। তিনি জানান, তারা উভয়েই টানা ৪র্থ বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজের প্রত্যয় জানিয়েছেন।
অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, পেট্রোলিয়াম ক্রয়, শিল্প সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ জানান, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নাজমুল হক এবং প্রবাসীদের মধ্যে ইসমাইল হোসাইন, ওয়াজিউল্লাহ মিয়া, মোশারফ হোসেন খান, হুমায়ুন কবির, কাজী আব্দুল্লাহ, কামরুল হাসান জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন সরকার, আতাউর রহমান ভূঁইয়া, শামীম চৌধুরী প্রমুখ অভ্যর্থনা সভায় অংশ নেন।
এমটি/ এআর