অনলাইস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা ছিল। সেটা কাজে লাগানো যায়নি। সেই সিরিজ শেষে এবার নতুন লক্ষ্যের দিকে মনোযোগ বাংলাদেশের। নিজেদের লাকি গ্রাউন্ড হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামে পা রাখছে টাইগাররা। সেটাও নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে ম্যাচের জন্য।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বুধবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ গড়াবে দুপুর আড়াইটায়। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এটিই এই দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ। আর এই সিরিজে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে দুই দলই।

গতকাল চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন দল হিসেবে খেলার কথা, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে ভালো খেলা। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সেটা পেরেছি, সেখানে আমরা সব ম্যাচ জিততে চেয়েছি। বিশ্বকাপেও এটা দেখতে হবে দল হিসেবে আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলছি, খারাপ সময়ে একজন আরেকজনকে কতটা সমর্থন করছি।’

তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার লিটন দাসসহ দলে চার ওপেনার কে খেলবেন বা খেলবেন না সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলেননি নতুন অধিনায়ক। কেবল শান্ত বলেন, ‘এখন এটা বলতে চাইছি না। দলের জন্য যেটা ভালো মনে হবে, সেটাই করা হবে।’

তবে সৌম্য সরকারকে নিয়ে যেন কিছুটা আশাবাদী শোনাল শান্তকে। নতুন টাইগার অধিনায়কের ভাষ্য, ‘অনেক দিন পর এসে গত সিরিজে তিনটা ম্যাচ খেলল (সৌম্য), একটা তো বড় ইনিংসও খেলল। তবে ধারাবাহিকতা সব ব্যাটসম্যানেরই ধরে রাখা প্রয়োজন। সৌম্যসহ সবাই সেটা নিয়ে কাজ করছে। আশা করব, এই সিরিজেও সুযোগ পেলে দলের জন্য ভালো কিছু করবে।’

এদিকে ম্যাচের আগেরদিন গতকাল বড় রান করার ইচ্ছার কথায় বলেন লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড , ‘নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালো করার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে আমাদের, যেটা আমরা আগেও করেছি। আমাদের সেই ছন্দটা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সম্প্রতি আমরা কিছু ভালো রান করেছি, ওটাই করে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকের ভালো অবদান আছে। আমরা চাইব আরও বেশি খেলোয়াড় বড় স্কোর করুক।’

এছাড়া সম্প্রতি দুই দলের দ্বৈরথ নিয়ে সিলভারউড বললেন, ‘এই দ্বৈরথ অবশ্যই খুব ভালো। আমাদের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন এবং টি-টোয়েন্টিতে আমরা দুটি ভালো দলের লড়াই-ই দেখেছি। এই সিরিজেও (ওয়ানডে) আমি ঠিক সেটাই চাইব। আমরা চাই কিছু ভালো ক্রিকেট খেলা হোক এবং আমার মনে হয় দুই দলই তা চায়।’

গেল বছরে টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট ঠিকঠাক চললেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হতাশ করেছে সবাইকে। নিজেদের সবচেয়ে চেনা মাঠ শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি টাইগাররা। এরপর বিশ্বকাপের ভরাডুবি তো ছিলই। ২০২৪ সালে তাই নতুন করে ওয়ানডেতে নিজেদের ফিরে পাওয়ার মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email