স্টাফ রিপোর্টার: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষ করে স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এই অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন এবং দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছেন। তাই জনস্বাস্থ্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আমাদের জাতীয় উন্নয়নে সরাসরি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি আয়োজিত “স্মার্ট নাগরিকসেবা নিশ্চিতকরণে জনস্বাস্থ্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অঙ্গীকার” শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সারাবিশ্বে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতির মন্থরগতির সময়ও বাংলাদেশে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলক কম পড়েছে কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বগুণ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সারের দাম ১১০০ ডলারের উপরে বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সরকার সার এবং কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি বন্ধ করেনি যাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং খাদ্য উৎপাদনে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।
মন্ত্রী এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাষ্ট্রের সকল স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে মানুষ তার সুফল পাবে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মানুষের কল্যাণে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় সুন্দর কর্ম পরিবেশের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কর্মপরিবেশ সুন্দর হলে তা কর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি তৈরি করে যা কাজের প্রতি তাদের আন্তরিকতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বক্তব্যের শেষে মন্ত্রী জনস্বাস্থ্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জাতীয় সম্মেলনের সফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
এমটি/ এএটি