স্টাফ রিপোর্টার:
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বহুমাত্রিক সেবা বৃদ্ধি এবং পিপিপি‘র আওতায় স্মার্ট সার্ভিস সেবার মাধ্যমে ডাকঘরকে তরুণ তরনীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাব-এ রূপান্তর করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা হয়েছে এবং এ মাসে আরও চারটি এবং আগামী মাসে আরও ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক আজ স্মার্ট প্লাটফর্মে বরিশালে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জিপিও ভবন, বরিশালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাকঘর অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষে মানুষে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদফতর করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতি প্রান্তের প্রতিটি মানুষকে চেনে। জি-টু-জি ডাক সেবা এবং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব প্রদানের পাশপাশি স্মার্ট সক্ষমতা তৈরির জন্য মানসিকতা ও বিদ্যমান ধ্যান ধারণার পরিবর্তন, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা বিশিষ্ট কম্প্উিটার বিজ্ঞানী জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এর দিকনির্দেশনায় ২০২১ সালে তা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক একটি স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তরের ভূমিকা অপরিসীম বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেবা থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেবায় রূপান্তর করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বরিশালে রাত্রিকালীন ডাকঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বরিশাল এর জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী নব নির্মিত জিপিও ভবনের উদ্বোধন করেন।
এমটি/ এআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email