স্টাফ রিপোর্টার: মালয়েশিয়ান শ্রমবাজারে জনশক্তি প্রেরণ বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, আবারো কোটা পেতে সরকার কাজ করছে। আমরা মালয়েশিয়ার সাথে যোগাযোগ করেছি। ইনশাআল্লাহ- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খোলা হবে এবং খোলা থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজয়-৭১ হলে সম্পূর্ণ বিনা অভিবাসন ব্যয়ে বোয়েসেল এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ‘সেন্ড-অফ প্রোগ্রাম’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবের এসব কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, বর্তমান কোটার আওতায় মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ সহ ১৪টি কর্মী প্রেরণকারী দেশ হতে আগামী ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোটা অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে সরকার।

সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কোটা অনুযায়ী সকল কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা আগামী ৩১ তারিখকেই লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যে ৩১ তারিখের মধ্যে কোটার সকল কর্মী যেনো পাঠাতে পারি। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছেন তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

কর্মীদের মালয়েশিয়া গমনের প্রাক্কালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ বিনা অভিবাসন ব্যয় মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের সরকারের মহতি উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তোমরা আমাদের দেশের এম্বাসেডর, তোমাদের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আমি আশা করি, তোমরা সঠিকভাবে দেশের জন্য কাজ করবে। তোমরা যে অর্থ উপার্জন করবে তা সঠিক মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করবে। বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের আমরা সরকারের পক্ষ থেকে রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে বিদেশে প্রেরণ করার লক্ষ্য আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো কাজ করছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যতম হাতিয়ার দক্ষ জনশক্তি । মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, দেশকে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা।

সভায় জানানো হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস হতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হয়। অদ্যাবধি মোট ১৩০৮ জন কর্মী প্রেরণ করেছে বোয়েসেল। আজ আরও ৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহত প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) বারহাত-এ গমন করবে। সম্পূর্ণ বিনা ব্যয়ে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া গমন করছেন।

এমটি/ এআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email