স্টাফ রিপোর্টার: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালক তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন সে সময়।

সোমবার (১৯ আগস্ট) আসিফ মাহমুদ এসেছিলেন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিসিবি কার্যালয়সহ ঘুরে দেখেছেন স্টেডিয়ামের কাঠামোতগত অবস্থা।

রোববার রাতে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো মিরপুর স্টেডিয়ামে আসবেন আসিফ মাহমুদ। এরপর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার ব্যক্তিগত প্রেস সচিব এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানান। ১টার দিকে মিরপুর স্টেডিয়ামে আসেন আসিফ মাহমুদ। এর আগে থেকেই তাকে বরণ করে নিতে স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমে। প্ল্যাকার্ড হাতে সেখানে উপস্থিত হয় একদল শিক্ষার্থী।

বিসিবির সভাকক্ষে বসে অনেকের সঙ্গেই কথা বলেন আসিফ মাহমুদ। এখানে ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, তার বড় ভাই ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক নাফিস ইকবাল, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালসহ বিসিবির আরও কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে আসিফ মাহমুদ ঘুরে দেখেন স্টেডিয়ামের অবগাঠামো অবস্থা, সাক্ষাত করেন জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভালো কিছুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। তাদের অনেকে আজ মিরপুরে হাজির হন আসিফ মাহমুদকে স্বাগত জানাতে। এ সময় তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘বিসিবি পরিচালকদের পদত্যাগ চাই’, বিসিবির দালালরা হুঁশিয়ার’, ‘ক্রিকেটে আর কতোদিন দুর্নীতি চলবে?

পুরোটা সময় আসিফ মাহমুদের সঙ্গে ছিলেন তামিম, ঘুরে ঘুরে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সব কিছু দেখান দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অভিজ্ঞ এই ওপেনার।

পরিদর্শন শেষে আসিফ মাহমুদ বলেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমি আমাদের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ফ্যাসিলিটিসগুলো আছে, সবগুলো একটু করে দেখছি। আজ বিকেএসপি যাওয়ার কথা ছিল, যেতে পারিনি। ক্রীড়া পরিদপ্তরসহ এখানে বিসিবিতে আসা হয়েছে।

অবকাঠামোগত যে অবস্থা আছে, সেটা দেখতে চেয়েছিলাম। সেটা দেখলাম ঘুরে ঘুরে সব জায়গায়। নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে দেখা হলো, তারা সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে। এখানে যেসব বিষয়ের উন্নয়ের দরকার আছে, সেসবের নোট নিলাম, আশা করি সামনে আমরা এসব ঠিক করে দিতে পারবো।’ বলেন তিনি।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email