স্টাফ রিপোর্টার: বন্যাদুর্গত এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সকল দপ্তর, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিত মেরামতের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। বুধবার ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে বন্যাদুর্গত ১১টি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে বিতরণ করা হয়েছে ৩৭ লাখ ২ হাজার পানিশোধন ট্যাবলেট। জেরিকেন বিতরণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮৮৭টি এবং ইউনিসেফের সহায়তায় বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১২৬টি হাইজিন কিট ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে পাওয়া তথ্য মতে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৩৮ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১ হাজার ৯৫টি ব্রিজ/কালভার্ট। এই পর্যন্ত এলজিইডি কর্তৃক মেরামত করা হয়েছে ৫১ কি.মি রাস্তা এবং ৯৬টি ব্রিজ/কালভার্ট।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজ বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৬৫ হাজার ২৫৩ জনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ জন মানুষ এবং ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে ৮টি (ফেনী ৫টি, মৌলভীবাজার ১টি, নোয়াখালী ১টি, ও কুমিল্লা ১টি) মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৯ লিটার নিরাপদ খাবার পানি বিতরণ করেছে।
হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, ফেণী, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উন্নতি হলেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায়। সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, এবং মৌলভীবাজার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
এমটি/ এএটি