স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ তৈরিপোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে দাবি করে সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল ও পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র ‘সাধারণ সদস্যদের’ পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সদস্য মাইশা ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, বিজিএমইএ’র পরিচালক ও অনন্ত গার্মেন্টসের ব্যবস্থপনা পরিচালক ইনামুল হক খান বাবলু, এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, মোটেক্স ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ কবীর, এশিয়ান গার্মেন্টসের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন।

বক্তব্যে তারা বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন হচ্ছে বিজিএমইএ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে এই পোশাক শিল্প থেকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে এ সেক্টরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গত ৯ মার্চ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ক্ষমতায় আসে। যা সাধারণ সদস্যদের মনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

লিখিত বক্তব্যে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন তারা। তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে-

১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র- জনতা হত্যাকারী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি এবং খন্দকার রফিকুল ইসলামকে বিজিএমইএ- এর সভাপতি নিয়োগ সাধারণ সদস্যরা মানে না। অবিলম্বে তার নিয়োগ ও পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে হবে।

২. সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় প্রভাবমুক্ত ২০ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ড গঠন করতে হবে।

৩. অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ডকে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

৪. বিজিএমইএ- এর অতীতের সব দুর্নীতির স্বচ্ছ ও সঠিক তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৫. ‘খুনি’, ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনার দোসর বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম মহিউদ্দিনসহ বর্তমান পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।

৬. ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিইউএফটি’র নিহত শহীদ মো. সেলিম তালুকদারসহ সব আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৭. বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে ‘শহীদ সেলিম চত্বর’ ঘোষণা করতে হবে।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email