অনলাইন ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেক সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাপুটে কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়ে আছেন কারাগারে। কিছু দিন আগের ব্যস্ত প্রভাবশালীরা বর্তমানে কারাগারে শুয়ে-বসে-ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে দিন পার করছেন।
চার মন্ত্রী, তিন প্রতিমন্ত্রী, ৯ সংসদ সদস্য ছাড়াও দুই সাবেক আইজিপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা পাচ্ছেন বিশেষ সুবিধা। সারা দেশে বন্দিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন পাচ্ছেন ডিভিশন সুবিধা। তাদের অনেকই হৃদরোগ ও ক্যানসারের মত কঠিন রোগে আক্রান্ত।
গেলো পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেফতার হন অনেকেই। কারা কর্মকর্তারা জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন প্রাপ্তরা এটাস্টড বাথরুমসহ আলাদা রুম, উন্নত খাট, চেয়ার-টেবিলসহ পাচ্ছেন সাধারণ কারাবন্দিদের থেকে উন্নত খাবার।
প্রভাবশালীরা পেয়েছেন খাট, ভালো বিছানা, টেবিল, চেয়ার, তোষক, বালিশ, তেল, চিরুনি, আয়নাসহ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস। এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে তাদের দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বন্দির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দুইটি দৈনিক পত্রিকা পাচ্ছেন।
এছাড়া ডিভিশন সুবিধার আবেদনে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু। আবেদন করে ডিভিশনে আছেন সাবেক চার মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, টিপু মুন্সী এবং আসাদুজ্জামান নূর।
সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি-উন্নয়ন) মো. ফরহাদ বলেন, অনেকেই বলছেন তারা রাজকীয় হালে আছেন। কিন্তু ৯৬ বর্গমিটারের সেলে কতটুকু রাজকীয় হালে থাকা যায়, আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।
এমন তালিকায় আরও আছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মাহবুব আলীসহ কয়েকজন। কারা কর্মকর্তারা জানান, কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে শ্রেণি সুবিধা পাচ্ছেন সাবেক এমপি, মন্ত্রী ও সিআইপিরা। কোনও কোনও বন্দি আছেন যারা হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মত কঠিন রোগে আক্রান্ত।
সহকারী কারা মহাপরিদর্শক আরও জানান, কারাগারে সবই হচ্ছে কারাবিধি অনুযায়ী। বিধির বাইরে কোনো সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই।
এমটি/ এএটি