শরীয়তপুর প্রতিনিধি: সখিপুরের তাতী কান্দি এলাকায় জমিজমার বিরোধে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ উছেঠে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। ভাংচুর শেষে বসত ঘরে লুটপাটও করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি দেড়মাস ধরে বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিরোধের বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যরা মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে এখনও মীমাাংসা করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে আইন-আদালতের সম্মুখিন হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও মামলার আর্জি থেকে জানাগেছে, নজরুল ইসলাম তাতী সখিপুরের তাতী কান্দি এলাকায় বসবাস করে। পার্শ্ববর্তী সেকান্দার আলী তাতীদের সাথে জমিজমা নিয়ে নজরুল তাতীদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে গত ১৭ আগস্ট সকালে সেকান্দার আলী তাতীর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাড়ির লোকজদের মারধর করে আহত করে। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
ওই দিনই বিকেলে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করতে গেলে পুনরায় নজরুল ইসলাম তাতীকে মারধর করে। সর্বশেষ ১৮ অক্টোবর সকালে আসামীরা নজরুল ইসলাম তাতীর বাড়িতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কময় পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। স্থানীয় শালিশরা বিরোধের বিষয়টি মীমাংসা করতে গরিমশি করায় দীর্ঘদিন পরে নজরুল ইসলাম তাতী আদালতে মামলা করতে আগ্রহী হয়।
মামলার বাদী নজরুল ইসলাম তাতী বলেন, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সেকান্দার আলী তাতীর নেতৃত্বে আমার বসত বাড়ি ও ঘর ভাংচুর করেছে। দফায় দফায় হামলা ও লুটপাট করেছে। ককটেল ফুটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী ভয়ভীতি সৃষ্টি করে আমাদের বাড়ি ছাড়া করেছে। ঘটনার দিন থেকে বাড়ি ঘরে থাকতে পারি না। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াই। বিরোধের বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় শালিশদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। তারা আশ্বস্ত করেও বিষয়টি মীমাংসা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি।
এমটি/ এএটি