অনলাইন ডেস্ক: টানা শ্রমিক অসন্তোষের জেরে অস্থির সময় পার করার পর গতকাল থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে, স্বতস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।
তবে কিছু সংখ্যক কারখানা নিরাপত্তাজনিত কারনে এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারনে আজও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশের একটি সুত্র।
সুত্রটি বলছে আজ উৎপাদন বন্ধ থাকা এই কারখানার সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ টি হতে পারে। এর বাহিরে শিল্পাঞ্চলের অন্য সকল কারখানা চালু রয়েছে।
এছাড়াও সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা শ্রমিক অসন্তোষের সংবাদ পাওয়া যায়নি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য এবং অব্যাহত রয়েছে যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম।
যদিও গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বেলা বারোটার দিকে ইন্ডাস্ট্রি সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট ৩০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ২৩টি এবং স্ববেতনে ছুটি আছে, কাজ বন্ধ আছে কিংবা শ্রমিকরা চলে গেছে এমন কারখানার সংখ্যা ০৭টি।
সুত্রটি জানায়, শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ থাকা কারখানার মধ্যে রয়েছে, আঞ্জুমান ডিজাইন লিমিটেড, এথিকাল গার্মেন্টস লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস, তাহারাত কম্পোজিট লিমিটেড, কাঠগড়া কম্পোজিট লিমিটেড।
এছাড়া স্ব-বেতনে ছুটি রয়েছে, কাজ বন্ধ আছে বা শ্রমিকরা চলে গেছে জেনারেশন নেক্সট, টেক্স টাউন, এনআর ক্রিয়েশন, কম্ফিট কম্পোজিট লিমিটেডসহ ৭টি কারখানা।
সুত্রটি আরও জানায়, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় আজ ৪০৭টি কারখানা চালু রয়েছে, বিপরীতে বন্ধ রয়েছে ৩০টি কারখানা। গাজীপুরে চালু রয়েছে ৮৭৬ টি কারখানা, বন্ধ আছে ৪টি।
এর বাহিরে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ২০৯টি, ডিএমপি এলাকায় ৩০২ টি এবং চট্টগ্রামে ৩৫০ টি পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। এসব এলাকায় কোন কারখানা বন্ধ নেই।
এমটি/ এএটি