অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রেস রিলিজের সূত্র ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ ও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ চালানো হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম)।
চিঠিতে দেশের অর্থনীতিকে ‘রক্ষা’ করতে এবং ‘সাংবাদিক’সহ বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘লাখ লাখ’ পরিবারের জীবিকার স্বার্থে এসব ‘অপপ্রচার’ ও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বসুন্ধরার এই চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, সিআইডির প্রেস রিলিজ এবং এর সূত্র ধরে হওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘সাজানো’ অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে।
কোনো তদন্ত ছাড়াই এই অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বসুন্ধরার চেয়ারম্যান দাবি করেন, ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া’ অনুসরণ না করায় এতে বসুন্ধরা গ্রুপের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সিআইডির ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ প্রত্যাহারের নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ ও ‘মানহানিকর’ প্রচারণা বন্ধে যা ‘করণীয়’ তা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানান বসুন্ধরা চেয়ারম্যান।
চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, এ ধরনের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ ও ‘অপপ্রচার’ দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যার ফলে দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানহানির পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপে কর্মরত সাংবাদিকসহ লাখো মানুষের কর্মহানির আশঙ্কা তৈরি করবে।
পাশাপাশি এসব কারণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ঋণমান ও বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার খরচে (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও চিঠিতে সতর্ক করে দেন আকবর সোবহান।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগ অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি এই সিদ্ধন্তের কথা জানায়।
এমটি/ এএটি