অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আট আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামির নাম ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা।যাবজ্জীবন সাজার আসামিরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।
যারা খালাস পেলেন তারা হলেন- মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত নতুন দিন ধার্য করে।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেনুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস ফখরুল-খসরু-রিজভীরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস ফখরুল-খসরু-রিজভী
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
এমটি/ এএটি