অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে দলটি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭ নেতার সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির কয়েকজন নেতা।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ২৩ অক্টোবর আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তের আরেকটি বাধা হিসেবে আমাদের সামনে এখন এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আজকে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমটি হচ্ছে- সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে গঠন করা যায় এবং ঘোষণা দেব তা নিয়ে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে কীভাবে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করা যায় এবং কীভাবে রাজনৈতিক সংকট দূর করা যায়- তা নিয়ে কথা বলেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্যকে ধরে রেখে কীভাবে সরকার পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছি।
হাসনাত বলেন, বিএনপির আমাদের সব কথা শুনেছে। তারা জানিয়েছেন আমাদের বার্তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবে পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে তারা একমত পোষণ করেছেন বলেও জানান হাসনাত। তিনি বলেন, একই ইস্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারাও নৈতিকতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ চায়।
আগামীতে এসব বিষয় নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির সাতজন অংশ নেয়। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ৯ জনের পরিচয় দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক।
তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, জাতীয় নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব।
এমটি/ এএটি