অনলাইন ডেস্ক: ‘পাটকে ‘ জিআই’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ’ নামে পাটের জিআই হবে। দেশে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সহজলভ্য হতে হবে। পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলে পাটের কোন সংকট হবে না। পাটের ব্যাগ উৎপাদনে পাট পাওয়া না যায়, প্রয়োজনে রপ্তানী বন্ধ করা হবে। আমাদের চাহিদা না মিটিয়ে রপ্তানী করবো না। সাধারণ মানুষের পাটের ব্যাগ রাখার অভ্যাস হয়ে যাবে। এই অভ্যাস আগেও ছিল । পাটের ব্যাগ বারবার ব্যবহার করা যাবে।

রোববার ( ২৭ অক্টোবর) ‘‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন- ২০১০ বাস্তবায়ন এবং পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, আপনারা পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করুন, কোন সমস্যা হলে সমাধান করা হবে। আমরা কোন খাতকে চেপে ধরছি না, সবাইকে সময় দিয়েছি। এতোদিন ব্যবসায়ীরা পাটকে বন্ধ করে প্লাষ্টিকের কারখানা করেছে সেটা আর হবে না। পাটকে এগিয়ে নিতে হবে।’

আগামী মাস থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য নভেম্বরের পর থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে এ বৈঠকে জানানো হয়।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তাসলিমা কানিজ নাহিদা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব সুব্রত শিকদার, অতিরিক্ত সচিব এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আব্দুল খালেক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: ছিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়াম্যান মো: রুহুল আমিন খান, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন মহা সচিব আ: বারিক খান ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email