অনলাইন ডেস্ক: প্রধান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তরুণরা এ দেশে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। তরুণদের উদ্যোগেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।

ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, সে বিষয়ে শনিবার মত দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত সম্মেলনে এ মত দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণরা এ দেশে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। তরুণদের উদ্যোগেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।

তিনি বলেন, ‘সামনের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতার।’

‘বর্তমান সভ্যতা আমাদের ব্যর্থতার মুখে ফেলেছে’ মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, ‘যা শুধু পরিবেশের ক্ষতিই করেনি, মুনাফার পেছনে মানুষের অন্ধ দৌড়ও এর জন্য দায়ী। আসুন, আমরা একটি নতুন সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরো মডেলের ভিত্তিতে, যেখানে সম্পদ কুক্ষিগত থাকবে না এবং সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।’

বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট ঘুরে দেখুন। তরুণদের অন্তরের ভাষা বুঝতে পারবেন। আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, নতুন একটি বিশ্ব গড়ার চিন্তা করুন, যেমনভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের শিখিয়েছেন একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে পার করছি, যেখানে চ্যালেঞ্জ আর জটিলতা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে ঘিরে ধরেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার, কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি—সবই আমাদের সামনে একেকটি বড় বাধা। তবুও বাংলাদেশ বারবার দেখিয়েছে কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হয়।’

আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি ও ৮০০ জন অংশ নেবেন।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email